চাঁদপুরে এ লার্নিং এন্ড আর্নিং কার্যক্রম তরুণ সমাজের জন্য হচ্ছে একটি মাইলফলক। দেশে বসে বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ইতোমধ্যে এ প্রকল্পটি সাফল্যের মুখ দেখেছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ নিয়ে ঝাঁকজমকপূর্ণ মেলার আয়োজন করা হয়।
‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা হবো জয়ী, আমরা দুর্বার ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে আইসিটি হবে হাতিয়ার’ এ শ্লোগানে চাঁদপুরে দিনব্যাপি লার্নিং এন্ড আর্নিং মেলায় ৪০টি স্টল অংশগ্রহণ করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন।
সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা মেলার স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে লার্নিং এন্ড আর্নিং বিষয়ে ব্যাপক ধারণা গ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেন।
এছাড়াও চলমান এ প্রকল্পে ৫০ দিনের গ্রাফিক ডিজাইন কোর্সের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে যারা লার্নিং অবস্থায় আর্নিং শুরু করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন তাদের অনেককেই আবেগঘন কণ্ঠে অভিভ্যাক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
ফলে নতুন প্রজম্মের মধ্যে একটি ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। ঘর বসে তরুণ-তরুণীরা কীভাবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যাম আয় করতে পারবে তারই লেচন হচ্ছে ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং’।
যারা বিষয়টিকে ভালোভাবে ও মনোযোগ সহকারে শিখতে মনোনিবেশ করেছে তারাই এগিয়ে যাবে। দেশের প্রায় বৈধ-অবৈধভাবে বিশ্বের প্রায় ৫০ টি দেশে ১ কোটি শ্রমজীবী লোক অবস্থান করে শ্রমের মাধ্যমে যে যে খাত থেকে যেভাবে অর্থ উপার্জন করে বৈদেশিক র্যামিটেন্স পাঠাচ্ছে‘লার্নিং এন্ড আর্নিও এর একটি।’ পার্থক্য হচ্ছে-দেশের ভেতরে নিজ বাসায় থেকে এ কাজটি করতে পারছে।
সর্বপ্রথম রাজধানীতে এর যাত্রা শুরু হয়। দেশের তরুণ-তরুণীদের উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি আইটি বিভাগ এ মহতী উদ্যোগটি গ্রহণ করে। দেশের বেকার সমস্যা দূরীকরণে ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং ’ খাতটি এখন জেলা থেকে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চলে আসছে।
এ ক্ষেত্রে দেশের বিরাট একটি বেকার অংশ আয়বর্ধন কাজে সম্পৃক্ত হয়ে নিজদের স্বাবলম্বী ও দক্ষ নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবে। চাঁদপুরের আইটি জগতের উদ্যোমী ও উদ্যোগীরাই এ খাতকে চাঙ্গা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
আমাদের চাঁদপুরে বর্তমানে ১ লাখ ৬৫ হাজার লোক বিদেশে শ্রম বিক্রি করে র্যামিটেন্স পাঠাচ্ছে ও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে। বাকিরা ‘লার্নিং এন্ড আনিং’ এর পথে এগিয়ে আসলে সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
সংশ্লিষ্ট আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এলইডিপি প্রকল্পের কনসালটেন্ট এসএম রাফায়েত হোসেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব, শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুল হাই, এলইডিপি ট্রেনিং প্রকল্পের বিভাগীয় সমন্বয়ক ট্রেইনার সোহেল ইয়াহিয়া, চাঁদপুর কলেজ ভেনুর গ্রাফিক ডিজাইনের ট্রেইনার জাহাদুল ইসলাম, লেডি প্রতিমা ভেনুর ট্রেইনার ফাহিম ফারায়েজ, বাগাদী আইসটি ল্যাব ভেনুর ট্রেইনার দেলোয়ার হোসাইনসহ লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রজেক্টের সকল লার্নার ও কর্মকর্তাদের আমরা অভিনন্দন জানাই ।
চাঁদপুর হউক দেশের অন্যতম আইটি নির্ভর জেলা এটাই কাম্য।
No comments:
Post a Comment